আশা করি সবাই আল্লাহ্র রহমতে ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো আসলে হাইব্রিড জাত কি এবং কিভাবে হাইব্রিড জাত তৈরি করা হয়। এই বিষয়টা পরিষ্কারভাবে
বুঝানোর জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক টার্ম ব্যবহার করা লাগতে পারে তবে আমি খুব সহজে বুঝানোর চেষ্টা করবো যাতে সবাই বুঝতে পারেন।তার আগে ১ এবং ২ নম্বর ছবিটা দেখেন। ছবিগুলো থেকে আমরা দেখতে পারছি যে আজকের দিনে আমরা যে বড় সাইজের ব্রয়লার মুরগী বা টার্কি দেখতে পাই তা একদিনে আসে নাই,এটা একটা খুব সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ার ফলাফল যাকে বলে সিলেকটিভ ব্রিডিং বা আর্টিফিশাল সিলেকশন।ধরেন আপনার কাছে ১০ টা টার্কি আছে এর মধ্যে কিছু পাবেন যাদের মধ্য একটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রকট মানে কিছু আছে যারা অন্যদের তুলনায় বেশী ডিম পারে বা ডিমের সাইজ বড় আবার কিছু আছে যারা সমান খাবার খেয়ে অন্যদের তুলনায় বেশী ওজন হয়েছে।এখন আপনি টার্কির এমন একটা লেয়ার জাত তৈরি করতে চাচ্ছেন যেটা অনেক বেশী ডিম দিবে।এটা করার জন্য আপনাকে আর্টিফিশাল সিলেকশন করতে হবে মানে যে টার্কিটা বেশী ডিম দেয় তার বংশধরদের মধ্য বেশী
ডিম দেয় এই বৈশিষ্ট্যটাকে মাথায় রেখে বার বার ব্রিডিং করাতে হবে ফলে দীর্ঘসময় পর অনেকবার ব্রিডিং এর পর এমন একটা জাত পাওয়া যাবে যারা বেশী ডিম দেয় তখন তার একটা সুন্দর নাম দিবেন যেমন (বাংলা লেয়ার - ১)।আজকে আমরা যে ২০ কেজির উপরে ব্রড ব্রেষ্টেড হোয়াইট দেখি তা এই সিলেকটিভ ব্রিডিং বা আর্টিফিশাল সিলেকশন এরই ফল।আরেকটা মজার বিষয় হল ধারনা করা হয় মানুষ কুকুর কে নেকড়ে থকে এই প্রক্রিয়ায় বর্তমানরূপে এনেছে।বুলডগ ও এই প্রক্রিয়ার ফল তবে পার্থক্য হল তার সিলেকটিভ ব্রিডিং বা আর্টিফিশাল সিলেকশন হয়েছে তার চেহারার উপর ভিত্তি করে।আজ এ পর্যন্তই।আল্লাহ্ হাফেজ।
Post a Comment