টার্কি মুরগী পালন করে সাবলম্বী হতে চলেছে যুবক মাসুদ | profit by turkey bird

উপজেলা সদরের মাহামুদ হাসান মাসুদ(৩২) টার্কি মুরগির খামার করেছে। মাসুদ দামুড়হুদা সদরের মাদ্রাসা পাড়ার আব্দুল মমিনের ছেলে। বর্তমানে মুরগির ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বিক্রি করা শরু করেছেন। এতে সে ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছেন। মুরগির বাচ্চা ও সেড তৈরীতে তার খরচ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা।

মাহামুদ হাসান মাসুদ জানান, গত বছরের ২৮শে নভেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের পরামর্শে তিনি ঢাকা থেকে ৬৫০টাকা প্রতি পিছ দরে ১দিনের ৬০টি বাচ্চা ৩৯ হাজার টাকায় কিনে আনে। এর মধ্যে ১১টি বাচ্চা মারা যায়। ১০ মাসে প্রতিটি মুরগির ওজন হয়েছে ১২ থেকে ১৪ কেজি। এর মধ্যে ২৯টি মুরগি ও ২০টি মোরগ আছে। গত রমজান মাসের মাঝা মাঝি থেকে মুরগি ডিম দেওয়া শরু করে।এরা দ্রুত বাড়ে এবং মযুরের মত পেখম মেলে ধরে নারী জাতের মুরগীদের আকৃষ্ট করে । বর্তমানে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ টি ডিম দিচ্ছে। এর মধ্যে তিনি ঐ ডিম চুয়াডাঙ্গার কুলপালার জাকির এ্যান্ড ব্রাদার্স থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে ১দিনের বাচ্চা ৫শত ২/৩দিনের বাচ্চা প্রতি পিচ৭শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাসুদ ২০টি বাচ্চার বিক্রি করেছে ও ২শত পিচ ডিম হ্যাচারিতে আছে। সঠিক ভাবে বাচ্চা গুলি ফুটলে লক্ষা ধিক টাকায় বিক্রি হবে এছাড়াও ৪ জোড়া মুরগি ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এর মধ্যে আরো ৪ জোড়া বিক্রি করবেন বলে জানান। তার ঘরের ছাদে সেড তৈরী ও বাচ্চা কেনা দিয়ে খরচ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। প্রথম চালানেই তার সকল খরচ উঠে আসবে ও কিছু লাভ থাকবে বলে আশা করছেন। প্রতিটি মুরগি বছরে ১শ, থেকে ১শ ৩০টি ডিম দিয়ে থাকে। এই টার্কি মুরগি দেশি মুরগির মত পালন করা যায়। এরা পাতা জাতিয় খাবার খায় ফুল কফি,পাতা কফি, বেগুল আলু ঘাস কুচি কুচি করে কেটে দিলে খেয়ে থাকে ও ধানের কুড়া ভুট্টা ও খেয়ে থাকে। আবার পল্টি ফিড ও খেয়ে থাকে ফিড খাওয়ালে দ্রুত ওজন ও বাড়ে কিন্তু খরচ বেশি হয়। মুরগি মাংশ সাড়ে ৭শ থেকে ৮শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এ থেকে মাসুদ খুব ভালো লাভবান হবে বলে আশা করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, টার্কি মুরগি এখনো পাখি শ্রেণীর অন্তরর্ভুক্ত। রোগ-বালাই ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এটি পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

Related product you might see:

Share this product :

Post a Comment