আনুষ্ঠানিক শুরুটা ২০১৫ সালের শেষ ভাগে. বলছিলাম টার্কি পাখীর কথা. একটি শিক্ষা সফরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ যাই. সেমিনার শেষে ড: সুবাস চন্দ্র দাসের আন্তরিকতায় সুজোগ পেয়ে যাই, তার গবেষণা মূলক পোল্ট্রি খামারগুলো পরিদর্শন করার. সেই সূত্র ধরে দেখা মেলে টার্কির. যেখানে মাত্র ছয়টি টার্কি ছিলো. তখন পর্যন্ত দেশে হাতেগোনা তিন - চারজন খামারি ব্যক্তি উদ্যোগে টার্কি পালন করতেন. কিন্ত তেমন কোন প্রচার প্রচারণা ছিলোনা. বিষয়টি মাথায় ঢুকে যায়. ইন্টারনেট ঘেটে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের টার্কি বিষয়ে একটি লেখা পেয়ে যাই. যেখানে নওগাঁ জেলার একজন খামারি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান সাহেবের নাম এবং টার্কি পালনে তার সফলতার বিষয়টি উল্লেখ ছিলো. তিনি টার্কিকে কিছূ সাধারণ দানাদার খাবার এবং ঘাস দিতেন. এরপর আরো তথ্য সংগ্রহের জন্য ভারতীয় বিভিন্ন বাণিজ্যিক বৃহৎ খামারের তথ্য সংগ্রহ করে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লিখে ফেলি. পাশাপশি ড: সুবাস স্যারের সহযোগিতায় তিতির পাখী পালন নিয়ে একটি সংগঠনের ব্যানারে সেমিনারের আয়োজন করা হয়. সেই সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় টার্কি. যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর মাননীয় ডিজি মহোদয়, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এর দুজন পরিচালক এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি অনুষদের সম্মানীত ডীন সহ একঝাক তারকা. সকলই ছিলো ড. সুবাস স্যারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দেশ প্রেমের ফসল.
উল্লেখ্য, উক্ত সংগঠনের আমি একজন ক্ষুদ্র সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম উল্লেখিত অনুষ্ঠানে. সেই অনুষ্ঠান আরো বেশি সফল হয়ে উঠলো অনলাইন মিডিয়ার বদৌলতে. আর সুজোগ তৈরী হয়ে গেলো আমার মত অতিলোভী, ঠকবাজ, প্রতারকদের জন্য. বিশেষ করে যারা উক্ত অভিশপ্ত সংগঠনের কর্ণধার ছিলেন. ড. সুবাস স্যারের মত পোল্ট্রি বিজ্ঞানী, সম্মানীত, উদারমনা, দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষের নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু হয় প্রতারণা. যার সহজ শিকারে পরিণত হয়ে যান আমাদের দেশের সহজ -সরল গরীব খামারিরা. এমনকি আমার লেখা আর্টিকেল স্বনামে - বেনামে চালানো হয়. আমার লেখা চুরি করে অনেক টার্কি দালাল ( যারা ভারত থেকে প্রতিষেধক/টিকা বিহীন, রুগ্ন টার্কির বাচ্চা আমদানী করে নিজের খামারের বাচ্চা বলে বিক্রয় করে থাকেন ) নিজেকে কখনো কৃষিবিদ, কখনো কৃষি উদ্যোগতা সহ সুবিধাজনক সময়োপযোগী বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে অনলাইনে টার্কি ব্যবসা চালিয়েছেন . অথচ তিনি জীবনে কৃষি শিক্ষা বইটি পড়েছেন কিনা আমার সন্দেহ. আর এখনতো টার্কি বাবা, টার্কি দাদাদের কোন অভাবই নেই. যাহোক সে অনেক কথা. তবে সুখের বিষয়, টার্কি পরিচিতি বেড়েছে , বেড়েছে খামার. যেটা দেশ ও জাতীর জন্য কল্যাণের. আর এর অন্যতম প্রশংসার দাবীদার ড. সুবাস স্যার. তবে অতি মুনাফালোভীদের যেমন সমালচনা করেছি, তেমনি সাধুবাদ জানাই. কারন নিজেদের লাভে - লোভে তাদের এই প্রচারণা, টার্কি খামারিদের আগ্রহ সৃষ্টিসহ এর খামার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে.
উল্লেখ্য, উক্ত সংগঠনের আমি একজন ক্ষুদ্র সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম উল্লেখিত অনুষ্ঠানে. সেই অনুষ্ঠান আরো বেশি সফল হয়ে উঠলো অনলাইন মিডিয়ার বদৌলতে. আর সুজোগ তৈরী হয়ে গেলো আমার মত অতিলোভী, ঠকবাজ, প্রতারকদের জন্য. বিশেষ করে যারা উক্ত অভিশপ্ত সংগঠনের কর্ণধার ছিলেন. ড. সুবাস স্যারের মত পোল্ট্রি বিজ্ঞানী, সম্মানীত, উদারমনা, দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন মানুষের নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু হয় প্রতারণা. যার সহজ শিকারে পরিণত হয়ে যান আমাদের দেশের সহজ -সরল গরীব খামারিরা. এমনকি আমার লেখা আর্টিকেল স্বনামে - বেনামে চালানো হয়. আমার লেখা চুরি করে অনেক টার্কি দালাল ( যারা ভারত থেকে প্রতিষেধক/টিকা বিহীন, রুগ্ন টার্কির বাচ্চা আমদানী করে নিজের খামারের বাচ্চা বলে বিক্রয় করে থাকেন ) নিজেকে কখনো কৃষিবিদ, কখনো কৃষি উদ্যোগতা সহ সুবিধাজনক সময়োপযোগী বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে অনলাইনে টার্কি ব্যবসা চালিয়েছেন . অথচ তিনি জীবনে কৃষি শিক্ষা বইটি পড়েছেন কিনা আমার সন্দেহ. আর এখনতো টার্কি বাবা, টার্কি দাদাদের কোন অভাবই নেই. যাহোক সে অনেক কথা. তবে সুখের বিষয়, টার্কি পরিচিতি বেড়েছে , বেড়েছে খামার. যেটা দেশ ও জাতীর জন্য কল্যাণের. আর এর অন্যতম প্রশংসার দাবীদার ড. সুবাস স্যার. তবে অতি মুনাফালোভীদের যেমন সমালচনা করেছি, তেমনি সাধুবাদ জানাই. কারন নিজেদের লাভে - লোভে তাদের এই প্রচারণা, টার্কি খামারিদের আগ্রহ সৃষ্টিসহ এর খামার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে.
বর্তমান সমস্যা হলো, দেশে যেসকল টার্কি খামারি রয়েছেন, তারা সকলেই উচ্চমূল্য পরিশোধ করে বাচ্চা ক্রয় করেছেন. তাই নিজেরাও উচ্চ মূল্যে বাচ্চা বিক্রয় করছেন. যে কারণে অনেক নতুন আগ্রহী বাচ্চা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং কাংক্ষিত খামার সম্প্রসারণ হচ্ছেনা.
#তাই প্রকৃত খামারিদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করছি দুটো কারণে .
#তাই প্রকৃত খামারিদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করছি দুটো কারণে .
প্রথমত, আপনি যদি নিজের টার্কি খামারকে স্থায়ী লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চান, তাহলে শুধু বাচ্চা বিক্রয় করে সেটা সম্ভব হবেনা. আপনাকে টার্কির মাংসের বাজার সৃস্টি করতে হবে. আর সে জন্য চাই বেশী উতপাদন ও ভোক্তা তৈরিতে প্রচারণা. কিন্ত সেটা এক - দুজন খামারির পক্ষে অসম্ভব. প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ. আর তাই আগে দরকার খামার সম্প্রসারণ. দেশে যত দ্রুত খামার বাড়বে, তত দ্রুত মানুষ টার্কিকে চিনবে, জানবে, আকৃষ্ট হবে.
দ্বিতীয়ত, ভারতীয় টার্কির বাচ্চা আমদানী রুখতে দ্রুত খামার সম্প্রসারণ জরুরী. আর নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এরজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই. আর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমানের চেয়ে দাম কমিয়ে যুতসই একটি দাম নির্ধারণ করতে হবে. তবে সেটা আমরা লোকসান দিয়ে করবোনা. অবশ্যই খামারিদের লাভ দিয়ে বিচার করবো. কিন্ত অতিরিক্ত লাভের বদলে স্বল্প লাভ বিবেচ্য.
CAJ প্রস্তাবনা:
টার্কির জীবনচক্র, খাদ্য চাহিদা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও লেবার খরচ মাথায় রেখেই নিন্মে আমার প্রস্তাব উপস্থাপন করছি.
১ -৫ দিনের বাচ্চা - ৪০০ টাকা পিস.
৬ -১৫ ----------------৫৫০ টাকা পিস .
১৬-৩০ --------------৭০০ টাকা পিস .
৩১-৪৫ -------------৮৫০ টাকা পিস .
৪৬-৬০--------------১০০০ টাকা পিস.
৬১-৯০ -------------১২৫০ টাকা পিস .
৯১-১২০-----------১৫০০ টাকা পিস .
১২১- ১৮০ ------২৫০০ টাকা পিস .
টার্কির জীবনচক্র, খাদ্য চাহিদা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও লেবার খরচ মাথায় রেখেই নিন্মে আমার প্রস্তাব উপস্থাপন করছি.
১ -৫ দিনের বাচ্চা - ৪০০ টাকা পিস.
৬ -১৫ ----------------৫৫০ টাকা পিস .
১৬-৩০ --------------৭০০ টাকা পিস .
৩১-৪৫ -------------৮৫০ টাকা পিস .
৪৬-৬০--------------১০০০ টাকা পিস.
৬১-৯০ -------------১২৫০ টাকা পিস .
৯১-১২০-----------১৫০০ টাকা পিস .
১২১- ১৮০ ------২৫০০ টাকা পিস .
উপরোল্লিখিত প্রস্তাবটি প্রকৃত টার্কি খামারিদের বিবেচনা, যাচাই -বাছাই, পরিমার্জন, পরিবর্ধনের জন্য উপস্থাপন করেছি মাত্র. কারণ আপনাদের মূল্যবান মতামত আমার প্রস্তাবের চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ.
তবে সময়োপযোগী বাস্তবসম্মত একটা দাম যদি নির্ধারণ করা যায় , তবে এই শিল্প দ্রুত স্থান করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।
তবে সময়োপযোগী বাস্তবসম্মত একটা দাম যদি নির্ধারণ করা যায় , তবে এই শিল্প দ্রুত স্থান করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।
বিদ্রঃ আমার টার্কি খামারের যাত্রা শুরু হয়েছে কিছুদিন পূর্বে । কিন্ত আমি আশাকরি, শুধু প্রস্তাবনা নয় - বরং উল্লেখিত দামেই আমার বিপনন শুরু হবে ইনশাল্লাহ্ ॥
Post a Comment