টার্কি মুরগির খামার ২০০ থেকে ১০০০ | Turkey chicken farm 200 to 1000

পরশুরামের বাসপদুয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠেছে আমেরিকান টার্কি মুরগির খামার। গত দেড় বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে টার্কি খামারটি। টার্কি মুরগি বিক্রি ও বাচ্চা উৎপাদন করে কোটিপতি হয়েছেন খামারের মালিক ...
টার্কি মুরগির খামার ২০০ থেকে ১০০০ একটি টার্কি মুরগির ওজন ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৮০০ টাকায়।  পরশুরামের বাসপদুয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠেছে আমেরিকান টার্কি মুরগির খামার। গত দেড় বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে খামারটি। টার্কি মুরগি বিক্রি ও বাচ্চা উৎপাদন করে কোটিপতি হয়েছেন খামারের মালিক আজমীর হোসেন জুয়েল।
জানা গেছে, উপজেলার বাসপদুয়া গ্রামে ২০১৫ সালের শেষদিকে ১৬ শতক জমির উপর ‘আল্লাহর দান টার্কি ফার্ম’ নামে টার্কি মুরগির খামার গড়ে তোলেন ফিশ ফিডস ব্যবসায়ী আজমীর হোসেন জুয়েল। প্রথমে আমেরিকা থেকে ২০০ বাচ্চা এনে খামার শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় এক হাজার টার্কি মুরগি আছে ওই খামারে। একটি টার্কি মুরগি একটানা ২২টি পর্যন্ত ডিম দেয়। আজমীর হোসেন জুয়েলের ভাই আবদুল হালিম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছেন হ্যাচারি মেশিন। এ মেশিনে ডিম রাখার ২৮ দিন পর বাচ্চা ফুটে। দানাদার খাদ্য ছাড়াও কলমির শাক, বাঁধাকপি ও সবজি জাতীয় খাবার খায় টার্কি মুরগি। চার মাস পর থেকে খাওয়ার উপযোগী হয় এসব মুরগি। ছয় মাস বয়সের মুরগি ৬ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি টার্কি মুরগির ওজন ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়। এখানে প্রতিকেজি মুরগি বিক্রি হয় ৮০০ টাকায়।
খামারের উদ্যোক্তা জুয়েল জানান, হ্যাচারি মেশিনে দৈনিক ৫০টি বাচ্চা ফুটে। এক মাস বয়সী বাচ্চা বিক্রি হয় একজোড়া সাড়ে চার হাজার টাকায়। এ খামার থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকজন খামারি বাচ্চা নিয়ে গেছেন। টার্কি মুরগি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৭০০ সালে যুক্তরাজ্যে ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে টার্কি মুরগির জাত উৎপাদন করা হয়। উত্তর আমেরিকা টার্কি মুরগির উত্পত্তিস্থল। ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে টার্কি মুরগি পালন করা হয়। অনেকটা খাসির মাংসের মতোই এ মুরগির মাংসের স্বাদ। এ মাংসে অধিক পরিমাণ প্রোটিন ও কম পরিমাণ চর্বি রয়েছে। সুস্বাদু এই মুরগির রোগ বালাইও তেমন হয় না।
টার্কি মুরগির পাশাপাশি তিতির মুরগি, ফ্রান্সের দেশী মুরগি, বিদেশি কোয়েল পাখিসহ বিভিন্ন জাতের বিদেশি কবুতরের খামারও গড়ে তুলেছেন জুয়েল।
‘আল্লাহর দান
টার্কি ফার্মের’ স্বত্ত্বাধিকারী আজমীর হোসেন জুয়েল বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে বাচ্চা এনে টার্কি মুরগির খামার গড়ে তুলেছিলাম। আলস্নাহর রহমতে এখন এক হাজার টার্কি মুরগি রয়েছে আমার খামারে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, টার্কি মুরগির খামার করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। ফেনীতে এ প্রথম টার্কি মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে খামারিরা চাইলে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

Related product you might see:

Share this product :

Post a Comment