টার্কি পালন নতুন সম্ভাবনার হাতছানিঃ পর্ব-০৩ (রোগ বালাই ও জৈব নিরাপত্তা) Tarki Murgi Palon Korte Chaile


প্রতিদিনই বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। প্রতিবছর যে হারে লোক সংখ্যা বাড়ছে, সে হারে বাড়ছে না কর্মক্ষেত্র। এ কারণে দিন দিন চাকরি যেন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে চাকুরি না পেয়ে  কাজের সন্ধানে শিক্ষিত বেকার যুবকরা ছুটে আসছেন রাজধানীতে। এই তরুণদের চোখের সামনে নেই কোনো স্বপ্ন, নেই জীবনের অনাগত দিনগুলো সাজানোর কোনো সুন্দর পরিকল্পনা। কিন্তু এই ক্রান্তিকাল শুরুর আগে, কারো মনেই এমন প্রত্যাশা ও ছিল না। সবার মনেই ছিল একটা সুন্দর স্বপ্ন! সমাজের মানুষের কাছে দিন দিন নিজেদের নেতিবাচক অবস্থান দেখে তাদের অনেকেই আজ বিপর্যস্ত। যদি এই সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা না করা যায়, তাহলে এটি সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য এক দুরারোগ্য ব্যাধি হিসেবে দেখা দিবে।”
বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে ও শহরে ছাদ সহ অনেক জায়গা অনাবাদি/পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। যেখানে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে নানা ধরনের ঘাস লতা। এ রকম উন্মুক্ত জায়গা টার্কি পালনের জন্য বেশি উপযোগী। অন্যদিকে আমাদের রয়েছে এক  বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠী। তাই একদিকে অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান, এই দুইয়ের মাঝে সেতুবন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার। যারা বেকার বসে আছেন, যারা নতুন কিছু শুরু করতে চান পোলট্রি ব্যবসা করে যারা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন এবং আপনার স্থাপনা এখন কোনো কাজে আসছে না, যারা কম ঝামেলাপূর্ণ কাজ পছন্দ করেন এবং ভালো আয়ের উৎস খুঁজছেন, যারা অল্প পুঁজি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা খুঁজছেন, টার্কির খামার তাদের জন্য আদর্শের হতে পারে।”
টার্কি পালনের সুবিধা সমুহঃ
১। মাংস উদপাদন ক্ষমতা ব্যাপক
২। এটা ঝামেলাহীন ভাবে দেশী মুরগীর মত পালন করা যায়
৩। টার্কি ব্রয়লার মুরগীর চেয়ে দ্রুত বাড়ে
৪। টার্কি পালনে তুলনা মূলক খরচ অনেক কম, কারন এরা দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ঘাস,লতা পাতা খেতেও পছন্দ করে
৫।  টার্কি দেখতে সুন্দর, তাই বাড়ির সোভা বর্ধন করে
৬। টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশী, চর্বিকম ।তাই গরু কিংবা খাসীর মাংসের বিকল্প হতে পারে
৭। টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, বি৬ও ফসফরাস থাকে।এ উপাদান গুলু মানব শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।এবং নিয়মিত এই মাংস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়
৮। টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ওট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস খেলেশরীরেরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
৯। টার্কির মাংসে ভিটামিন ই অধিকপরিমাণে থাকে
১০। একটি আদর্শ টার্কি খামার করতে খুব বেশী পুঁজির প্রয়োজন হয়না
১১। অন্যান্য পাখীর তুলনায় এর রোগ বালাই কম এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে এই খামারে ঝুঁকি অনেক কম
১২। যেহেতু ৭৫% পর্যন্ত ঘাস দেয়া যায়, তাই খবারে খরচ কম
১৩। বাজার চাহিদা প্রচুর
১৪। উচ্চ মুল্য থাকায় খরচের তুলনায় আয়  অনেক বেশী
টার্কি পালনের অর্থনৈতিক স্থিতিমাপ সমূহ:
•    পুরুষ – মাদী অনুপাত- ১:৫
•    গড় ডিমের ওজন -৬৫ গ্রা.
•    গড় এক দিনের বাচ্চার ওজন-৫০ গ্রা.
•    যৌন পরিপক্কতার বয়স-৩০ সপ্তাহ
•    গড় ডিমের সংখ্যা-৮০-১০০
•    ইনকিউবেশন বা ডিমে তা দেওয়ার সময়সীমা-২৮ দিন
•    ২০ সপ্তাহে গড় ওজন-৪.৫-৫ কিগ্রা (মাদী) ৬-৭ কিগ্রা (পুরুষ)
•    ডিম দেওয়ার সময়সীমা-৩০ সপ্তাহ
•    বাজারজাত করার উপযুক্ত বয়স-পুরুষ-১৪-১৫ সপ্তাহ ,মাদী-১৭-১৮ সপ্তাহ
•    বাজারজাত করার উপযুক্ত ওজন-পুরুষ-৭.৫ কিগ্রা,মাদী-৫.৫ কিগ্রা
•    বাজারজাত করার উপযুক্ত বয়স পর্যন্ত গড় খাবার গ্রহণ-পুরুষ-২৪-২৬ কিগ্রা,মাদী-১৭-১৯ কিগ্রা
* রোগ বালাইঃ
পক্স, সালমোনেলোসিস, কলেরা, মাইটস ও এভিয়ান ইনফুলেঞ্জা বেশী দেখা যায়। পরিবেশ ও খমার অব্যাবস্থাপনার কারণে অনেক রোগ সংক্রমণ হতে পারে।
টার্কির সাধারণ রোগ ও প্রতিকার :
ক্রমরোগকারনলক্ষনপ্রতিরোধ
অ্যারিজানোসিসস্যালমোনেলা অ্যারিজানাছানারা বাড়ে না এবং চোখের অস্বচ্ছতা ও অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে৷ আক্রান্ত হবার সম্ভাব্য বয়স ২৫-৩০ দিনসংক্রামিত ব্রীজারের পালকে বর্জন করা ও হ্যাচারি ফিউমিগেশন (জীবাণুনাশক ধোঁয়া প্রয়োগ) করা এবং জীবাণুমুক্ত করা৷
ব্লু-কোম রোগকরোনা ভাইরাসওজন হ্রাস,ফেনাফেনা বা জলের মত মল,মাথা ও চর্মের রং গাঢ় হওয়া৷খামারের পাখির সংখ্যা কমান ও সংক্রমণমুক্ত করা৷ কিছুটা সময় বিরতি দিন৷
শ্বাসনালীর রোগমাইকোপ্লাজ়মা গ্যালিসেপটিকামকাশি, গড়গড় শব্দ, হাঁচি, নাক দিয়ে রস গড়ান৷মাইকোপ্লাজমা বিহীন স্টক কিনুন
এরিসিপেলাসএরিসিপেলোথ্রিক্সরুসিওপ্যাথিডিআকস্মিক মৃত্যু,ফোলা স্নুড,মুখের নে স্থানে রং পরিবর্তন,ঝুঁকে পড়া ভাবটিকাকরণ
ফাউল কলেরাপ্যাস্চুরেলামাল্টো সিডাবেগুনি মাথা,সবজেটে হলুদ মল, আকস্মিক মৃত্যুজীবাণুনাশ ও মৃত পাখি যথাযথ ভাবে নষ্ট করা৷
ফাউল পক্সপক্স ভাইরাসঝুঁটি ও গলকম্বলে (ওয়াট্ল) ছোট ছোট হলুদ ফোসকা ও মামড়ি পড়াটিকাকরণ
রক্তস্রাবী আন্ত্রিক প্রদাহভাইরাসএক বা একাধিক মৃত পাখিটিকাকরণ
সংক্রামক সাইনোভাইটিসমাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপটিকামপায়ের সন্ধি ও প্যাড ফোলা,খঞ্জত্ব, বুকে ফোসকাপরিষ্কার স্টক কিনুন
সাইনাসাইটিসব্যাকটিরিয়ানাক দিয়ে রস গড়ান,সাইনাস ও কাশিনীরোগ ব্রীডারদের কাছ থেকে শাবক কিনুন
১০মাইকোটক্সিকোসিসছত্রাক ঘটিতরক্তস্রাব,চর্বিযুক্ত লিভার ও কিডনিখাবার নষ্ট হয়ে যেতে দেবেন না
১১প্যারাটাইফয়েডস্যালমোনেলাপুলোরামছানাদের ডায়রিয়াপ্রতিরোধ ও পালের জীবাণুনাশ
১২টার্কি করাইজাবর্ডেটেল্লা এভিয়ামনাকে চাপা শব্দ, ফুসফুসে ঘড়ঘড় শব্দ ও নাক থেকে অত্যধিক শ্লেষ্মা পড়াটিকাকরণ
১৩কক্সিডিওসিসকক্সিডিয়াপ্ররক্তযুক্ত ডায়রিয়া ও ওজন হ্রাসযথাযথ জীবাণুনাশ ও লিটার পরিচালন
১৪টার্কি যৌন রোগমাইকোপ্লাজমা মেলিয়াগ্রিসউর্বরতা ও ফোটার যোগ্য ডিমের পরিমাণ হ্রাসকঠোর জীবাণুনাশ
টার্কি খামার ব্যবস্থাপনা ও জৈব নিরাপত্তাঃ
টার্কির খামারে যেন কোন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ না ঘটাতে পারে সে জন্য প্রতিরোধমূলক জৈব নিরাপত্তাব্যবস্খা জোড়দার করা উচিত। এ ছাড়াও রাণীক্ষেত, গামবোরো, বসন্ত ইত্যাদি জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত রোগ বেশি হয়। এসব রোগের প্রতিকার নেই বলে প্রতিরোধব্যবস্খাই একমাত্র উপায়। কোনোভাবেই যাতে জীবাণু খামারের ভেতর প্রবেশ না করে এ জন্য জৈব নিরাপত্তাব্যবস্খা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
▪ খামারের প্রধান গেট তালা দিয়ে রাখতে হবে। ‘জৈব নিরাপত্তা চালু আছে, প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড লাগাতে হবে
▪ খামারের চার পাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
▪ খামারের শেডের পাশে খাদ্যদ্রব্য ফেলা যাবে না, এতে বন্যপাখি আসবে। বন্যপাখি বার্ড ফ্লুর ভাইরাস বহন করে
▪ দর্শনার্থীদের এবং অন্য খামারের কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না
▪ খামারের ভেতরে নিয়োজিত কর্মীদের খামার কর্র্তৃক প্রদত্ত জীবাণুমুক্ত পোশাক, জুতা, টুপি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে
▪ খামারের ভেতর প্রবেশের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, গাড়িসহ সবকিছু জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করাতে হবে। এসব কিছুতে জীবাণুনাশক পদার্থ স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
▪ খামারের ভেতর যারা থাকবে বা প্রবেশ করবে তাদের পরিধেয় সবকিছু জীবাণুমুক্ত হতে হবে
▪ টার্কির ঘরের দরজ বìধ রাখতে হবে; যাতে বিড়াল, কুকুর, ইঁদুর, সাপ, বেজি ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে
▪ এক খামারের লোক অন্য খামারে গোসল করতে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। জীবাণু এক খামার থেকে অন্য খামারে প্রবেশ প্রতিরোধ করতে হবে
▪ খামারের কর্মীদের বন্যপাখির দোকানে খাওয়া যাবে না
▪ খামার পরিত্যাগের সময় খামারের বস্ত্রাদি পরিবর্তন করে হাত-পা ভালোভাবে ধুতে হবে
▪ প্রতিটি শেডের সামনে পা ধোয়ার জীবাণুমুক্তকরণ তরল পদার্থ রাখতে হবে
▪ শেডে প্রবেশের সময় পা জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করতে হবে
▪ দেশের ভেতর থেকে বাচ্চা সংগ্রহের আগে নিশ্চিত হতে হবে, ওই খামারের গত এক বছরে কোনো রোগ দেখা দিয়েছে কি না
▪ অতিথি পাখি খামারের আশপাশে বা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। খামারের কর্মীদেরও অতিথি পাখির কাছে যাওয়া যাবে না। কারণ শীতকালে বিভিন্ন দেশে থেকে এ দেশে অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলো বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করতে পারে
▪ কোনো হাঁস-টার্কি অসুস্খ হলে বা মারা গেলে সাথে সাথে জেলা বা উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে জানাতে হবে
▪ মৃত টার্কি মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে
▪ খামারে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য একটিমাত্র পথ চালু থাকবে
▪ টার্কি ও ডিম বিক্রি করে খাঁচা, সরঞ্জামাদি ও যানবাহন পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করে খামারে প্রবেশ করতে হবে। কারণ যেখানে টার্কি ও ডিম বিক্রি করা হবে, সেখানে অন্য টার্কি থেকে জীবাণু আসতে পারে
▪ অবিক্রীত টার্কি ও ডিম খামারের ভেতর নেয়া যাবে না
▪ হাঁস-টার্কিকে সময়মতো সব রোগের টিকা দিতে হবে
▪ টার্কি, হাঁস, কবুতর ও অন্যান্য পাখি একত্রে পালন করা যাবে না
▪ অতিথি পাখি শিকার বìধ করা, বিক্রি বìধ করা এবং অতিথি পাখির কাছে যাওয়া নিষেধ
▪ বাড়িতে পালার জন্য বাজার থেকে কেনা টার্কি অন্তত ১৫ দিন আলাদা রেখে তারপর বাড়িতে টার্কির সাথে রাখতে হবে
▪ খামারের ভেতরে প্রবেশের সময় জীবাণুমুক্ত গ্লাভস, গামবুট, মাস্ক, টুপি ও এপ্রোন ব্যবহার করতে হবে
▪ এক শেডের যন্ত্রপাতি বা ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য শেডে ব্যবহার করা যাবে না
▪ রোগাক্রান্ত হাঁস-টার্কির বিষ্ঠা, ময়লা, বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে
▪ শেডের লিটার ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হবে এবং শুকনা রাখার ব্যবস্খা করতে হবে
▪ টার্কির ঘরে কাজ করার সময় ভেতর থেকে দরজা বìধ রাখতে হবে
▪ টার্কির মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে পশু হাসপাতালে জানাতে হবে। অস্বাভাবিক আচরণের মধ্যে রয়েছে টার্কি পরপর দু’দিন ২০ শতাংশ হারে পানি ও খাদ্য কম খেলে এবং ডিম উৎপাদন পর পর দু’দিন ২০ শতাংশ হারে কমলে।
▪ লেয়ার টার্কির বিষ্ঠা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে
▪ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সুষম ও টাটকা খাদ্য সরবরাহ করতে হবে
▪ জীবাণুনাশক হিসেবে সাবান, ডিটারজেন্ট, ভিরকন, ফার্ম ফ্লুইড ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে
টার্কি খামারে করণীয়ঃ
১) টার্কি শেডের চারপাশে ৫ মিটার জায়গা অতিরিক্ত বাড়াতে হবে;
২) বাড়তি জায়গা ভালভাবে পরিস্কার এবং ঘাস ও ঝোপঝাড় মুক্ত রাখতে হবে; বাড়তি জায়গার উপরে ভালমত ছাউনি দিতে হবে;
৩) ছাদের যেকোনো ছিদ্র পূর্বেই সারিয়ে নিতে হবে;
৪) প্রয়োজনীয় পলিথিনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে যদি অতিরিক্ত ছাউনি দেওয়া না হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় সামনে ও পেছনে যেন চটের তৈরি আচ্ছাদন থাকে। বড় টার্কির ক্ষেত্রে বৃষ্টি না থাকলে তা উঠিয়ে রাখতে হবে যাতে ভালভাবে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে;
৫) বাচ্চা উঠানোর আগেই সকল পাকা মেঝে ভালমত রিপিয়ারিং করতে হবে এবং যতদিন সম্ভব শুষ্ক রাখা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে;
৬) খাবারের পাত্র যাতে যথাসম্ভব শুষ্ক রাখা যায় সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে;
৭) লিটারের ক্ষেত্রে, জানালা এবং ঘরের পাশ দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢোকার সম্ভাব্য সব ছিদ্র বের করতে হবে এবং তা বন্ধ করার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন লিটার শুষ্ক থাকে। শক্ত লিটার ভেঙ্গে দিয়ে নতুন লিটার ছড়িয়ে দিয়ে এবং শুষ্ক দ্রব্য যেমন: লাইম পাউডার, এমোনিয়াম সালফেট ইত্যাদি ব্যবহার করে শুষ্ক অবস্থা বজায় রাখতে হবে। অন্যথায় ভেজা লিটার কক্সিডিওসিস, এন্টারইটিস, কৃমি সংক্রমণের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার হবে যা টার্কির জন্য ক্ষতিকর;
৮) যারা আখের ছোবড়া লিটার হিসেবে ব্যবহার করেন তাদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্যথায় Aspersillus fumigatus নামক মোল্ড জন্মাতে পারে যা ফুসফুসের কোষে প্রবেশ করে এবং বাচ্চাতে ব্রুডার নিউমোনিয়া ঘটায়।
৯) টার্কি শেডের আশেপাশে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে বিভিন্ন রোগ-বালাই শেডে প্রবেশ করতে পারে।

Related product you might see:

Share this product :

Post a Comment