পড়াশোনা শেষ করে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা গতানুগতিক চাকরি বা ব্যবসার আশায় বসে থাকে। এ সকল চাকরি বা ব্যবসার আশায় না থেকে আমরা যদি নিজেরাই আত্তকর্মসংস্থানের জন্য কিছু গঠনমূলক কাজ করি তাহলে আমাদের ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও আমরা কিছু উপহার দিতে পারব। এজন্য দরকার আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা। সমাজে এমন অনেক ব্যতিক্রমী পেশা রয়েছে যেখানে একটু পরিশ্রম ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফলতা দরজায় এসে কড়া নাড়বে। আমাদের ক্যারিয়ার পাতায় প্রতিদিনই আমরা চেষ্টা করি কিছু গঠনমূলক প্রজেক্টের ধারণা দিতে। আজকে এরকম একটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো। এটি হলো টার্কি ফার্ম।
বাংলাদেশে এখন সফল টার্কি ফার্মের সংখ্যা অনেক। দিন দিন এর চাহিদা ও বাজার বাড়ছে। একদিকে যেমন এ থেকে আদর্শ খাবার হিসেবে আমিষের চাহিদা মেটাতে চর্বি মুক্ত অধিক মাংস পাওয়া যাবে, তেমনি অন্যদিকে এ খাত থেকে বেশ ভালো আয় করাও সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অল্পবিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিলে।
প্রাথমিক প্রয়োজন : যেকোনো কিছু গড়তে সবার আগে প্রয়োজন প্রাথমিক প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে যে কোনো কাজের সফলতার ও ব্যর্থতা। টার্কি ফার্ম গড়ে তুলতে প্রয়োজন আর্থিক সঙ্গতি, অভিজ্ঞতা ও টার্কির নিরাপদ আশ্রয়। প্রথমেই বিশাল ফার্ম তৈরিতে হাত না দিয়ে ছোট পরিসরে কাজে হাত দেওয়া ভালো। ৩০থেকে ৫০টি ১মাসের ভালো মানের বাচ্চা নিয়ে যাত্রা করে আস্তে আস্তে ফার্মকে সম্প্রসারণ করাই উত্তম।
বাছাই প্রক্রিয়া : নিজ এলাকায় বিশেষ করে মফস্বলে টার্কি ফার্ম গড়ে তোলাই শ্রেয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন টার্কির উন্নত জাত বাছাই। উন্নত জাতের টার্কি বাছাই না করলে সারা বছর ফার্মে রোগবালাই লেগে থাকবে , এবং ওজন কম হওয়াতে লাভবান হতে পারবেন না। ভালো জাতের টার্কির পাশাপাশি ফার্মে পর্যাপ্ত ঘাস, খোলা জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ফার্ম গড়ে তোলার পরপরই ডিম এবং বাচ্চা বিক্রির জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।
স্থান নির্বাচন : যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এবং বিক্রির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এসব এলাকার আশপাশেই ফার্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন। চারপাশে উঁচু দেওয়াল, পরিবেশসম্মত আবাসন, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং হাঁটাচলার জন্য জায়গা থাকতে হবে। ওষুধের দোকান, কাঁচা ঘাসের খামার আশপাশে থাকলে ভালো।
খাবার সরবরাহ : পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন খাবার না পেলে সঠিক পরিমাণ মাংস পাওয়া যায় না। সবসময়ই খেয়াল রাখতে হবে টার্কি র যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হয়। এ জন্য পচা বা দীর্ঘদিন রাখা এসব পণ্য টার্কি কে খাওয়ানো উচিত নয়।
আয়ব্যায়: টার্কির খামার করে অন্য কোন খামারের চাইতে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়
Post a Comment