টার্কি নিয়ে সিরিয়াস কিছু কথা | Serious talk about Turkey Bird


বাঙ্গালী তার কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে একেবারেই ইউনিক( আমি নিজেও কিন্তু বাঙ্গালী আগেই বলে রাখলাম )।তার মধ্যে একটা হল বিদেশ প্রীতি।দেশী মুরগী আর দেশী ডিম ছাড়া বাঙ্গালী দেশীর খুব একটা ধার ধারে না।দেশের সীমান্তের বাইরে উৎপন্ন বা দেশের বাইরে হতে আগত সবকিছুর প্রতি একটা চিকন দুর্বলতা কাজ করে।সেটা বিয়ের হাট বাজার পেরিয়ে শালিকে গিফট দেওয়া প্রবাসী দুলাভাইয়ের ক্রিমে এসে শেষ হয়।বিদেশ থেকে পাঠানো বড় ভাইয়ের দেওয়া মোবাইল হাতে কত শত কিশোরকে যে আনন্দিত হতে দেখেছি তার কোন শেষ নেই।
আরেকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যে হল খাবারের ক্ষেত্রে নিজেদের পরিচিত গণ্ডির বাইরে খুব একটা না যাওয়া।অবশ্য ফুড লাভারদের ক্ষেত্রে অন্য কথা।ছোটবেলায় বাবা মা মুরগী খাইয়ে বড় করেছেন তাই খাবারের মেন্যুতে মুরগী ছাড়া অন্য সবকিছুই
অচেনা লাগে আর সূক্ষ্ম অস্বস্তিবোধ হয়।তবে কোনভাবে একবার শুরু করলে সেটার প্রতি অবসেসিভ হয়ে যায় , যেটা আমরা দেখেছি ব্রয়লারের ক্ষেত্রে।
উপরের আলোচিত দুইটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রথমটি গ্রহণমূলক আর পরেরটি বর্জনমূলক।একটা পজিটিভ আরেকটা নেগেটিভ।তাই তাদের মধ্যে বিকর্ষণ (বৈজ্ঞানিক নীতিতে আকর্ষণ করার কথা) হওয়াটাই স্বাভাবিক।আর এই বিকর্ষণের
ভেন্যু বাঙ্গালীর মন।আর উছিলা হল টার্কি যা আমেরিকান বা বিদেশী আবার একই সাথে খাবারের মেন্যুতে নতুন আইটেম।
একদিন ব্রয়লারের মত টার্কিতেও বাঙ্গালী অবসেসিভ হয়ে যাবে।আর যে অবসেশন শুরু হয় ধীরে ধীরে সেটার মেয়াদও থাকে দীর্ঘদিন।
Happy turkey farming!!

Related product you might see:

Share this product :

Post a Comment